জ্বরাজীর্ণ ভবনে কাজ, প্রাণ সংশয় ২৫ জনের
এখানে সেখানে পলস্তারা খুলে পড়েছে ছাদের, ভিমের ওপরেও নেই চুন-সুড়কির প্রলেপ। খসেপড়া পলস্তারার ভেতর থেকে রডের কাঠামো যেন তাকিয়ে আছে। দরজা-জানালার অবস্থাও বেহাল। আর একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়তে থাকে- এ দৃশ্য সাভার উপজেলার আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ের। গত ৩০ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ এ ভবনেই চলছে এ কার্যালয়ের যত দাপ্তরিক কার্যক্রম।
জরাজীর্ণ এ ভবনটি যে কোন সময় ধসে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে সে আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন এ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, কর্মকর্তাসহ এলাকার জনগণ।
১৯৮৫ সালে ৭ শতাংশ জমির ওপর প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট দোতলা ভবনটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী আর সঠিক তদারকির অভাবে অল্প দিনেই ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এই জীর্ণ ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ২৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে সাভার উপজেলা প্রশাসন সরেজমিন পরিদর্শন করে আমিনবাজার ইউপি কার্যালয়টি অন্যস্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোল্লা জানান, জমির অভাবে নতুন ইউপি ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত আমিনবাজার ইউনিয়ন পরিষদ ভবণ নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ভবনটি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে। এর মধ্যেই আমাদের কাজকর্ম করতে হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টির সময় ভবনের ওয়ালের পলস্তারা খসে পড়ে অফিসের ভেতরে পানি ঢুকে যায়।’
এ ছাড়া ভবনটি যে কখন ভেঙে পড়ার সে আশঙ্কায় কোনো রকমে কাজকর্ম সেরেই তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে আসতে হয় এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। জরুরি ভিত্তিতে তিনি আমিনবাজার ইউনিয়ন পরিষদটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।