অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে পড়াশোনা করে, জেনে-বুঝে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়।

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী না বুঝে, না শুনে কথা বলে পুরো জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলছেন। ভুল তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি বলব, জাতিকে এভাবে বিভ্রান্তির দিকে না নিয়ে আপনি পড়াশোনা করেন, জেনে-বুঝে কথা বলবেন। আপনার মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে জাতি এ ধরনের ভুল তথ্য কামনা করে না।’

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আপনি জাতির ধ্বংস ডাকবেন না, দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজাবেন না। আমরা আপনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রেখে বলছি, আপনি দয়া করে কথা বলবেন না। আপনি দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করেন, শিক্ষাঙ্গনকে রক্ষা করেন।’

ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইলেও তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে অতিকথন করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে পূর্বের ন্যায় বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি শিক্ষকদের অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করেছেন।’ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষক বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শিক্ষকরা আর তাঁর সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবেন না। যে শিক্ষকরা তাঁকে পড়ালেখা করাল, তিনি সেই শিক্ষকদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথা বলেছেন। আমরা আলোচনার জন্য বসে আছি একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর দিকে। তাঁর সঙ্গেই আমরা আলোচনায় বসব।’

এই শিক্ষক নেতা বলেন, ‘আজ দেশের শিক্ষাঙ্গনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে? কেন আজ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এত ষড়যন্ত্র! এর পেছনে কারা দায়ী?’

প্রধানমন্ত্রীকে সাবধান করে ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘খন্দকার মোশতাক আজ নেই। কিন্তু অনেক মোশতাক আজ যেন সরকারকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে।’ ওই সময় শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি যেন না হয়, সে জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আ জ ম শফিউল আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. জাফর আহম্মদ ভূঁইয়া প্রমুখ।