ময়নাতদন্ত শেষে সেনাসদস্য সাইফুলকে গার্ড অব অনার
ঝিনাইদহে মুখোশধারী ডাকাতদের হামলায় নিহত সেনাসদস্য মো. সাইফুল ইসলাম সাইফের ময়নাতদন্ত আজ রোববার সকাল ১০টায় সদর হাসপাতাল মর্গে অনুষ্ঠিত হয়। ময়নাতদন্ত শেষে যশোর সেনানিবাসের মিলিটারি পুলিশের একটি দল অ্যাম্বুলেন্সে সহকর্মীর মরদেহ নিয়ে যান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামে।
এ গ্রামের স্কুলমাঠে জাতীয় ও সেনাবাহিনীর পতাকায় ঢেকে দেওয়া হয় সাইফুল ইসলামের মরদেহ। ১০ সদস্যর সেনা সদস্যর একটি চৌকস দল শেষবারের মতো মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। গার্ড অব অনার দেন তাঁরা।
একইস্থানে জানাজা শেষে বেলা পৌনে ৩টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে সেনাসদস্য সাইফুল ইসলামকে দাফন করা হয়। এ সময় এলাকাবাসী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ এবং জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজার থেকে মোটরসাইকেল চড়ে বাড়ি ফেরার পথে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের হাওনাঘাটা এলাকায় ডাকাতদের কবলে পড়েন সেনাসদস্য সাইফুল ও তাঁর ছোট ভাই নৌবাহিনীতে কর্মরত সৈনিক মনিরুল এবং তাঁর শ্বশুর শামছুল ইসলাম। এ সময় ডাকাত দলের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়লে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাইফুলকে হাতে ও ঘাড়ের পিছনে আঘাত করে ডাকাতরা।
রাত সোয়া ১০টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের নেওয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেনাসদস্য সাইফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহে সেনাসদস্য মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুজন। ছবি : এনটিভি
সাইফুল ইসলাম টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসের মেডিকেল কোরে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। গত ৮ আগস্ট তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। ঈদের ছুটি শেষে আগামী ২৭ আগস্ট তাঁর কর্মস্থলে যোগদান করার কথা ছিল।
হত্যার ঘটনায় সাইফুল ইসলামের বাবা হাফিজ উদ্দিন হাবু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
এদিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন সদর উপজেলার বোড়াই গ্রাম থেকে মিজানুর রহমান ও চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ থেকে আকিমুল ইসলাম। ঘটনার সঙ্গে জড়িত এ দুইজনকে গতকাল রাতেই আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে।