নরসিংদীতে যুবককে হত্যা, প্রতিবাদে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার শানখোলা তিরার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত নজরুল (২৫) শিবপুরের আলিয়াবাদ গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার ছোট ছেলেমেয়েরা মুরাদের বাড়ির পাশের একটি বিল থেকে মাছ ধরছিল। এতে বাধা দেন মুরাদ। তাঁর কথা উপেক্ষা করে মাছ ধরায় ছোট ছেলেমেয়েদের মারপিট করেন মুরাদ। বিষয়টি নিহত নজরুলের কাছে নালিশ দেন এলাকার ছেলেরা। পরে নিহত নজরুল ঘটনা জানিয়ে মুরাদের বাড়িতে সালিশ বসান। এ নিয়ে নজরুল ও মুরাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় শানখোলা বাজারে পুনরায় নজরুল ও মুরাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নজরুল মুরাদকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এতে মুরাদের হাত কেটে যায়। পরে মুরাদ উত্তেজিত হয়ে আরো তিন-চারজন লোক নিয়ে এসে নজরুলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নজরুল। পরে তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ খবর নিহত নজরুলের স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা মুরাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে নিহত নজরুলের মা বলেন, ‘আজ বিকেলে নজরুলকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান মুরাদ। পরে সন্ধ্যায় খবর পাই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে খবর পাই তাকে মুরাদ খুন করেছে।’
ভিন্ন কথা জানিয়েছেন শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, খেলা নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জেরে হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।