সেই বাসচালক ও সহকারীকে হাইওয়ে পুলিশে হস্তান্তর
লালপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসচালক ও তাঁর সহকারীকে (হেলপার) নাটোর হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান চালক শামীম হোসেন ও সহকারী আব্দুস সামাদ কমলকে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্ত করেন। তাঁদের গ্রহণ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম।
ওসি মাহাবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এই দুজনকে বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশ আটক করে। পরে বগুড়া থেকে তাঁদের নাটোর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ বিকেলেই তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে বলে জানান ওসি।
গত ২৫ আগস্ট চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাস কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। লালপুর উপজেলায় গেলে বাসটি পেছন থেকে যাত্রীবাহী একটি লেগুনাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুসহ লেগুনার ১০ যাত্রী। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো তিনজন মারা যায়। এরপর নাটোর জেলা হাসপাতালে আরো দুজনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর থেকেই চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসচালক শামীম হোসেন গা-ঢাকা দেন। পরে গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে বগুড়া ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকীর হাতে তুলে দেন বগুড়া মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
তার একদিন আগে গ্রেপ্তার হন বাসচালকের সহকারী আব্দুস সামাদ কমল।
১৯৯২ সাল থেকেই রুট পারমিট ছাড়া চ্যালেঞ্জার পরিবহন রাস্তায় চলাচল করছিল বলে জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বগুড়ার কর্মকর্তারা।