ইভিএমের বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদে যাচ্ছে কাল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামীকাল সোমবার ইভিএমসহ আরো কয়েকটি আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
আজ রোববার সন্ধ্যা ভেটিংয়ের জন্য পাঠাতে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন ইভিএম ছাড়াও ভোট পদ্ধতি সহজীকরণ, নির্বাচন কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি, অনলাইনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, প্রার্থীদের আয়করের টিন নম্বর সংযোজনসহ বেশ কিছু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীর অনুমোদন দিয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে।
নিয়মানুযায়ী মন্ত্রিপরিষদে এ প্রস্তাবনা পাস হওয়ার পর প্রক্রিয়া অনুযায়ী তা সংসদে উত্থাপন করা হবে। আইন পাস হলে সারা দেশে ইভিএম প্রদর্শনী হবে। গত ৩০ আগস্ট সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তে সরাসরি বিরোধিতা করে নোট অব ডিসেন্ট (লিখিত আপত্তি) দিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনের সভা বর্জন করেন। নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার পর মাহবুব তালুকদারের অনুপস্থিতে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ তিন কমিশনার। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহবুব তালুকদার। তখন তিনি কেন নোট অব ডিসেন্ট দিলেন তার ব্যাখ্যা দেন।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইভিএম বাদে আর যে সংশোধনীগুলো অনুমোদন দিয়েছে কমিশন তা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং সেগুলো কী কী তাও আমার মনে নেই। তবে আগামীকাল সংশোধনীর প্রস্তাবগুলো ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চোধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে কখন পাঠানো হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। আর ইভিএম ছাড়া আরো কী কী সংশোধনীর প্রস্তাব পাঠানো হবে তা এখনি জানাতে পারছি না। সংখ্যা কত সেটিও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। তবে দ্রুতই জানতে পারবেন।’ অন্য সংশোধনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে ভেটিংয়ের জন্য যাক, কেবিনেট সভায় উঠুক, সংসদে পাস হোক তারপর জানতে পারবেন। যেহেতু কোনটা কোনটা পাস হবে তা তো আমরা জানি না সেহেতু পাস হওয়ার পরই জানাব। না হলে আবার সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সুতরাং সব এক সাথেই জানতে পারবেন।’