হাসপাতালে লাশ রেখে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে শারমিন বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও নিহতের পরিবার আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালের মর্গে ছুটে যান।
শারমিনের পরিবারের দাবি, শারমিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তাঁর লাশ হাসপাতালে রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শারমিনের দেবর সালাম গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে মৃত অবস্থায় শারমিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সঙ্গে শারমিনের আড়াই বছর বয়সী অসুস্থ মেয়ে আইভিকেও আনা হয়। মা ও মেয়ে সাপ তাড়ানো ওষুধ খেয়ে ফেলেছে বলে পরিবারের লোকজন দাবি করে।
নিহত শারমিন বেগম সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের আবিরপাড়ার দীন ইসলামের বড় মেয়ে। টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মারিয়ল গ্রামের রাজ্জাক দেওয়ানের ছেলে আলম দেওয়ানের সঙ্গে ২০১১ সালে তাঁর বিয়ে হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শৈবাল বশাক জানান, বুধবার দুপুরে মৃত অবস্থায় একটি নারীকে আর অসুস্থ অবস্থায় একটি শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়। অসুস্থ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে আইসিইউতে রাখতে হবে তা না হলে বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা শুনেছি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে বলা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিহত শারমিনের খালু জহিরুল হক দাবি করেন, বিয়ে হওয়ার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারমিনের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালাত। প্রতিবাদ করলে ছোট মেয়ে আইভিকে মেরে ফেলার হুমকি দিত। এখন পর্যন্ত আইভির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জহিরুল বলেন, শারমিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই মরদেহ রেখে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন।