রাতে নিখোঁজ, সকালে মিলল দুই ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ
যশোরের শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের জেহের আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (৪২) ও আজিজুল ইসলাম (৪০)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর দুই ভাই একসঙ্গে গিয়েছিলেন বাজারে। কিন্তু বাড়িতে না ফেরায় রাতেই তাঁদের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে পরিবারের সদস্যরা।
আজ রোববার সকালে দুই ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ মিলে দুই জায়গায়। আজিজুলের লাশ মিলে সামটা গ্রামে। আর ফারুকের লাশ মিলে কেশবপুর উপজেলার ধর্মপুর এলাকায় একটি ডোবায়।
নিহত আজিজুলের দুই হাতই আগে থেকে কাটা। আজ ভোররাতে সামটা গ্রামে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হন বলে পুলিশ দাবি করেছে। হাত কাটা আজিজুল মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন বলেও পুলিশ দাবি করেছে।
শার্শা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান জানান, সামটা গ্রামে আজ ভোররাতে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলছে এমন সংবাদ পায় পুলিশ। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আজিজুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
নিহত আজিজুলের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন জানান, উপজেলার ধর্মপুর এলাকায় পুলেরহাট-কুমিরা সড়কের পাশে একটি ডোবায় এলাকাবাসী আজ সকালে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি জানান, গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া লাশটি যশোরের শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের মৃত জেহের আলী ছেলে ফারুক হোসেনের। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতদের ছোট ভাই নবিজ উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর তাঁর দুই ভাই বাজার করতে জামতলা বাজারে যান। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও তাঁরা ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। আজ সকালে তাঁরা খবর পান গ্রামে একটি গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে আছে। গিয়ে দেখেন বড় ভাই আজিজুলের লাশ পড়ে আছে। এরপর খবর পান কেশবপুরের ধর্মপুরে আরেকটি লাশ পাওয়া গেছে। সেখানে গিয়ে দেখেন, সেটি তাঁর আরেক বড় ভাই ফারুকের লাশ।
নবিজ উদ্দিন জানান, তাঁর বড় দুই ভাই চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ সঠিক নয়।