বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে নাকাল হাসপাতাল ক্লিনিক, প্রতিবাদে ঝাড়ুমিছিল
টানা দুদিন ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন বরগুনার সদর ও বেতাগি উপজেলা। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে উপজেলা দুটির কয়েক লাখ বাসিন্দা। বিশেষ করে জেলা সদরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকের রোগীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা আজ শনিবার দুপুরে শহরে ঝাড়ুমিছিল বের করে বিক্ষোভ দেখায়।
তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদীর তলদেশ দিয়ে লাইন টানায় ত্রুটি চিহ্নিত করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে আজ শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বরগুনার এ দুটি উপজেলা। জেলা সদরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালসহ দুটি উপজেলায় ১০টিরও বেশি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে লাইট ফ্যান না চলায় নাকাল হতে হচ্ছে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের শত শত রোগীকে।
অন্যদিকে ফ্রিজ অচল থাকায় খাদ্য দ্রব্যাদি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
বরগুনার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, পিরোজপুরের কাঁঠালিয়া উপজেলা থেকে খরস্রোতা পায়রা নদীর নিচ দিয়ে বরগুনার বিদ্যুৎ লাইন আনা হয়েছে। কাঁঠালিয়া থেকে পায়রা নদী পেরিয়ে বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া থেকে খাল, বিল এবং জলা জঙ্গলের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার লাইন টেনে বরগুনায় বিদ্যুৎ আনা হয়েছে। এসব কারণে কোথাও সমস্যা হলে তা অনুসন্ধান করা দুরূহ হয়ে পড়ে।
দুদিন ধরে অনুসন্ধ্যান করে দুটি ত্রুটি পাওয়া যায়। পরে তা মেরামত করা হয়। কিন্তু তারপরেও লাইন চালু হচ্ছে না। হয়তো আরো কোথাও ত্রুটি রয়েছে। তা খুঁজে বের করতে প্রাণপন চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান পিডিবির এ কর্মকর্তা।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কামরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। আমাদের যে জেনারেটর তা খুব শক্তিশালী নয়। ফলে তা এক-দুই ঘণ্টার বেশি চালানো যায় না, গরম হয়ে যায়।’
এর ফলে অপারেশন থিয়েটারের সমস্যা উল্লেখ করে আরএমও বলেন, রোগীরা প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে। দ্রুত বিদ্যুৎ না এলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডের রোগী বিউটি আক্তার (৩২) এনটিভি অনলাইনকে জানান, দুদিন আগে তাঁর সন্তান হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে বাচ্চার খুব সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চাটি গরমে বারবার ঘেমে যাচ্ছে, ফলে খুব সমস্যা হচ্ছে।