থানায় শিশুকে আটক : মহেশপুরের ওসি ও এএসআইকে তলব
১১ মাসের এক শিশুকে আটক করার ঘটনায় মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঝিনাইদহের একটি আদালত।
আজ রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসেন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ জারি করেন। আদালতের এ আদেশ বিকেলে কোর্ট পরিদর্শকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে ।
সংশ্লিষ্ট আদালতের নাজির মো. সোহেল রানা এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর মহেশপুর থানার একটি মামলায় নাটিমা ইউনিয়নের কুড়িপোল গ্রামের রাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় রাজুকে না পেয়ে পুলিশ তাঁর স্ত্রী লিপি আক্তার ও ১১ মাস বয়সী শিশুপুত্র রাসেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটকের ১৯ ঘণ্টা পর ৪২ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ নিয়ে পরের দিন অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটিকে থানা হাজতে আটকে রাখা হয়।
ওই দিন দুপুরে ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, কোটচাঁদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, মহেশপুর থানা হাজতের সামনের বারান্দায় শিশুটি মায়ের সঙ্গে গ্রিলের ভিতরে ছিল। তাকে হাজতে আটক করে রাখার খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আসামি না হওয়া সত্ত্বেও রাজুর স্ত্রী ও ১১ মাসের শিশুপুত্রকে কোন ক্ষমতাবলে থানায় ১৯ ঘণ্টা আটক রাখা হলো তা আদেশপ্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মহেশপুর থানার ওসি শাহিদুল ইসলাম ও এএসআই আমির হোসেনকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের কার্যধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আদেশনামাতে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি শাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিকেলে এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
তবে ঝিনাইদহ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের রেকর্ড সহকারী আসাদ-উদ-দৌলা এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেন, দুপুর পৌনে ৩টায় ওসি শাহিদুল ইসলাম আদেশনামা গ্রহণ করেছেন।