রায়ের পর বগুড়ায় বাসে পেট্রলবোমা, আটক যুবদল নেতা
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পর পরই বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই বাসের দুই নারী যাত্রী আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জেলা যুবদলের সহকারী কৃষিবিষয়ক সম্পাদক নূর মোহাম্মদকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মুনিরা বেগম (৪০) ও সদর উপজেলার মোজাম্মেল হকের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (৫০)। তাঁদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, নীলফামারী থেকে ছেড়ে আসা নাবিল পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। দুপুর ১টার দিকে বাসটি শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে টিএমএসএস পাম্পের সামনে পৌঁছায়। এ সময় আট থেকে দশজন যুবক প্রথমে বাসটি লক্ষ্য করে লাঠি নিক্ষেপ করে। এরপর তাঁরা বাসটিতে একটি পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে।
এ সময় বাসের দুটি সিটে আগুন ধরে যায়। এতে আহত হন মুনিরা বেগম ও আঞ্জুয়ারা বেগম।
তবে, কোচের চালক আসলাম ও শ্রমিকরা তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এ সময় টহল পুলিশ ধাওয়া করে যুবদল নেতা নুর মোহাম্মদকে আটক করে।
ওই বাসের যাত্রী নীলফামারী সদর উপজেলার উত্তর বালাপাড়ার শামসুল ইসলামের মেয়ে আমিনা খাতুন (২৭) জানান, দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করলে চালক বাস থামিয়ে দেন। এরপর দুর্বৃত্তরা কোচ ভাঙচুর করে। তাঁর সামনের সিটে আগুন ধরে গেলে তিনি নিজের সন্তানকে নিয়ে বাসের জানালা দিয়ে নেমে পড়েন।
বাসের চালক আসলাম হোসেন বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা প্রথমে একটি ট্রাকে আক্রমণ করে। পরে আরেকটি যাত্রীবাহী বাসে বোমা ছুড়লে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে পেছনে থাকা নাবিল পরিবহনে তাঁরা বোমা নিক্ষেপ করে। এতে বাসের সিটে আগুন ধরে গেলে স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে।’
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।