সবার পক্ষে ঈদ আনন্দ উপভোগ সম্ভব হবে না
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘দেশে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য চলছে। মানুষের জান, সহায়-সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশের বর্তমান অবস্থায় সবার পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে না।’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। আজ বুধবার বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান খান রিপনের স্বাক্ষর সংবলিত এ বাণী বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি দরিদ্র ও কম আয়ের মানুষকে চরম দূর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পানি, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যূতের তীব্র সংকট জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আমি দেশের সব বিত্তবান ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের আহ্বান জানাই-দরিদ্র ও অসহায় মানুষের দিকে সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত প্রসারিত করার জন্য।’
খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে-সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাইকে ঈদের আনন্দ একসাথে ভাগ করে নিতে হবে এক কাতারে মিলে।’
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত প্রতি বছর ঈদুল আজহা আমাদের মাঝে ফিরে আসে। স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা কোরবানির প্রধান শিক্ষা। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-ক্রোধকে পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হওয়া আমাদের কর্তব্য। কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা ব্যক্তিজীবনে প্রতিফলিত করে মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ সম্ভব। বিশ্বাসী হিসেবে সে চেষ্টায় নিমগ্ন থাকা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।’
গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। ওই দিন দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁর ছেলে ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। এ প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে ঈদুল আজহা পালন করবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।