আমের রাজধানীতে ভোটের গরম
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে রাজশাহী জেলায়। একটি মহানগর ও নয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ জেলায় সংসদীয় আসন ছয়টি। জেলার মোট ভোটার ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৪১৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার নয় লাখ ৬৭ হাজার ৩১৫ আর নারী ভোটার নয় লাখ ৭৫ হাজার ৫৭ জন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মাঝে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগের কাজ শুরু করেছেন। নির্বাচনী টিকিট নিশ্চিত করতে যোগাযোগ করছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে।
তানোর ও গোদাগাড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-১ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, মতিউর রহমান ও গোলাম রাব্বানী। আর বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল হক একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন তালিকায়।
মহানগর নিয়ে গঠিত রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা মহাজোটের একক প্রার্থী। আর মিজানুর রহমান মিনু রয়েছেন বিএনপির তালিকায়।
পবা ও মোহনপুর নিয়ে রাজশাহী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের আয়েন উদ্দিন এমপি, আসাদুজ্জামান আসাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী। আর বিএনপিতে রয়েছেন শফিকুল হক মিলন ও মতিউর রহমান মন্টু ।
বাগমারা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এনামুল হক, জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিএনপি থেকে এককভাবে রয়েছেন আবু হেনা।
পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-৫ আসনে সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা, ওবায়দুর রহমান, আহসানুল হক মাসুদ ও ডা. মনসুর রহমান রয়েছেন আওয়ামী লীগের তালিকায়। অন্যদিকে বিএনপি থেকে নাদিম মোস্তফার মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত।
চারঘাট ও বাঘা উপজেলা মিলে রাজশাহী-৬ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। এরপরও মাঠে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য রায়হানুল হক। বিএনপির আবু সাঈদ চাঁদ, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল ও নুরুজ্জামান খান মানিক রয়েছেন মাঠে।
রাজশাহী-৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ নিজের প্রার্থীতার প্রসঙ্গে বলেন, ‘তৃণমূল থেকে আমি বেড়ে উঠেছি রাজনীতিতে এবং একজন রাজনীতিবিদের সর্বোচ্চ ইচ্ছে থাকে যে, আমি একদিন দলীয় মনোনয়নে এমপি হতে চাই বা ভোট করতে চাই।’
একই আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রার্থী রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন বলেন, ‘রাজশাহীতে ধরেন বিভিন্ন জায়গায় অনেকেই… একাধিক প্রার্থী থাকতেও পারে, তারা দাবি করতে পারে বড় ঘর হিসেবে। আমি মনে করি যে, হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে… এর বাইরে আর কোনো সমস্যা হবে বলে আমি মনে করি না।’
এদিকে আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণের পাশাপাশি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এমন প্রত্যাশা করছেন ভোটাররা।
রাজশাহীর একজন তরুণ (৩০) ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন... সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা চাই।’
আরেক ভোটার (৪০) বলেন, ‘আমাদের ভোট আমরা যাকে ইচ্ছা তাকে দিব। দিয়ে আমরা যেন... কেন্দ্র থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারি।’