‘কাকা দিবসে’ ভাতিজা সম্মেলন

প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি উপজেলা সদরের লোকজনকে চিকিৎসাসেবা দেন। বিনিময়ে কোনো টাকা নেন না। কেবল ঈদুল আজহার পর দিন তিনি বাড়ি বাড়ি যান। যে যাই পারুক তাঁকে অর্থ দেন। কোনো জবরদস্তি নেই।
তিনি হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের পল্লী চিকিৎসক মলয় কুমার সরকার। ধনী হোক দরিদ্র হোক, অসুস্থ হলেই ডাক পড়ে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ায় উপজেলা সদরের তরুণদের কাছে তিনি ‘কাকা’ হিসেবে পরিচিত। তাঁরা একই সঙ্গে ‘কাকার’ দারুণ ভক্ত।
মলয় কুমার আগে ঈদুল আজহার পর দিন একা অর্থ সংগ্রহের জন্য বের হলেও তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে থাকেন অনেক ভাতিজা। এ কারণে ভাতিজাসহ তিনি এ দিবসটির নাম দিয়েছেন ‘কাকা দিবস।’
দিবসটি উপলক্ষে গত শনিবার বিকেলে পাঁচ শতাধিক ভাতিজাকে নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা সদরে শোভাযাত্রা বের করেন মলয় কুমার। শোভাযাত্রায় ভাতিজাদের গায়ে ‘কাকা দিবস’ লেখা টি-শার্ট পরা ছিল। শোভাযাত্রাটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় ভাতিজারা করতালি দিয়ে ‘কাকা দিবসের শুভেচ্ছা’, ‘কাকা দিবস সফল হোক’ বলে স্লোগান দেন। শোভাযাত্রা শেষে দাড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভাতিজাদের নিয়ে ‘ভাতিজা সম্মেলন’ করেন মলয় কুমার। সেখানে তিনি এ বছর থেকে তাঁর বিনামূল্যের চিকিৎসাসেবা পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় এলাকার অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে মলয় কুমারের দীর্ঘায়ু ও কাকা-ভাতিজার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ থাকুক এ কামনা করা হয়।
পল্লী চিকিৎসক মলয় কুমার সরকার জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার তরুণরা তাঁকে কাকা বলে সম্বোধন করায় প্রতিবছর তিনি ঈদুল আজহার পরে এভাবেই এই দিবসটি উদযাপন করেন।