আওয়ামী লীগ হচ্ছে সন্ত্রাসের পাঠশালা : বিএনপি
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসের পাঠশালা’ অ্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘গুণ্ডামি হচ্ছে এদের শাসনপ্রণালী। সন্ত্রাসীরা যেমন আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে সবকিছু দখল করে নিতে চায়, তেমনি আওয়ামী লীগও তাদের আগ্রাসী ক্ষুধায় বহুদলীয় গণতন্ত্রসহ জাতীয় জীবনের সব অর্জন উচ্ছেদ করে গোটা দেশটাকেই তাদের জমিদারি বানাতে চায়।’
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন রিজভী। এ সময় তিনি চলমান অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দেন।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে শুরু হতে যাচ্ছে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর কথা ভেবে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করতে বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে রুহুল কবির রিজভী বলেন, শতকরা ৫ ভাগ ভোট নিয়ে আওয়ামী মহাজোট অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে আছে। ১৬ কোটি জনগণের ভাগ্যের কথা ভেবে ভোটারবিহীন সরকার পদত্যাগ করলেই তো দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। পরীক্ষার ফলাফল অস্বাভাবিক, অতিরিক্ত কৃতকার্য দেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও প্রতিযোগিতার মূল দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে জাতিকে পঙ্গু বানিয়ে ফেলার উপক্রম করেছে এই সরকার, তারা আবার পরীক্ষার্থীদের ভাগ্য নিয়ে কথা বলে।
বর্তমান মহাজোট সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যতদিন এরা ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনজীবনে নিরাপত্তা, শান্তি, স্বস্তি থাকবে না। মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে না। মানুষের সহায়-সম্পত্তি, জীবন পদে পদে বিপন্ন হবে।
গত বুধবার পুলিশের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাশকতাকারীদের দমনে কঠোর হতে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘দমন করুন, দায়িত্ব আমার।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে রিজভী আহমেদ গভীর শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি পুলিশি দমনের দায় গ্রহণ করেন তাহলে তো সারা দেশটিকেই এখন বধ্যভূমিতে পরিণত হতে হবে। এই দায় গ্রহণের জন্যই পুলিশ, র্যাব, যৌথবাহিনী মরণের বার্তা নিয়ে ঝটিকা আক্রমণ চালাচ্ছে পাড়া-মহল্লায়। বিএনপি ও জোটের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে আহাজারি আর শোকের মাতম।
‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে পুরস্কার ঘোষণার সুযোগ দিয়ে বিএনপি ও জোটের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা জোরেশোরে চলছে। এই ভোটারবিহীন সরকার আইন, বিচার, শাস্তি সব নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্য। আর এই দায়িত্বটি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি’, যোগ করেন রিজভী।