বিদেশি হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে
ইতালির নাগরিক চেসারে তাভেলা ও জাপানি নাগরিক হোসিকনিও হত্যার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের মদদ আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
urgentPhoto
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে দৈনিক ‘সমকাল’-এর সম্পাদক গোলাম সারওয়ার প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, দুজন বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছে। পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমগুলো আইএসের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সংবাদ প্রচার করেছে।
সমকাল সম্পাদক আরো বলেন, অনেকে বলছেন, যখন ফাঁসির দড়ির কাছাকাছি গেছে দুই রাজাকার, তখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা তাঁদের বিচার বানচাল করার চেষ্টা কি না। এমন পরিস্থিতিতে কোনো কর্মপরিকল্পনা আছে কি না।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুজন নাগরিক মারা গেছেন। তাঁদের একই কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। গুলশানে ইতালির নাগরিককে চারটি গুলি করা হয়েছে। এর আগে বিএনপির নেতার বক্তব্য এবং হত্যার পর তার প্রতিক্রিয়া দেখলে কিছু বিষয় আঁচ করা যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে গুলি করে ১০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সেসব দেশ ঘোষণা দেয়নি যে সেখানে কেউ আসবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। যখন তাদের বিচার করা হচ্ছে, তখন কিছু প্রতিক্রিয়া হবে। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা (মানুষ খুন) ঘটায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রতিনিয়ত যখন যে ঘটনা ঘটেছে, আমরা ইনস্ট্রাকশন (নির্দেশনা) দিচ্ছি। এ দুই ঘটনায় সব অর্জন ধ্বংস হয়ে গেল, এমনটা মনে করার নেই। এ ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের মদদ আছে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে।’
গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ইন্টেলিজেন্স (গোয়েন্দারা) খবর নিচ্ছে। ধরা পড়বে। বিচারও হবে। সৌদি নাগরিক হত্যার পর বিচার করেছি।’