মির্জা ফখরুলের স্ত্রী ও মেয়ের ওপর হামলার চেষ্টার অভিযোগ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম অভিযোগ করেছেন, গণসংযোগের সময় তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা করে ছাত্রলীগ। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেরা বড় বড় রাম দা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে। আমি জীবনে এ রকম অবস্থা দেখিনি।’
আজ বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ি এলাকায় মির্জা ফখরুলের বাসভবনে এসব কথা বলেন রাহাত আরা বেগম। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন তাঁর মেয়ে মির্জা সাফারুহ সুমি।
ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করছেন মির্জা ফখরুল।
রাহাত আরা বেগম বলেন, ‘আজ সকালে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের বসিরপাড়া এলাকায় ধানের শীষের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করতে গেলে ছাত্রলীগের ছেলেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টার করে। পরে তাদের অনুরোধ করে প্রাণের ভয়ে আমরা কোনোমতে ওই স্থান ত্যাগ করি।’
রাহাত আরা আরো বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেরা বড় বড় রাম দা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে। আমি জীবনে এ রকম অবস্থা দেখিনি। শুধু টেলিভিশনে দেখেছি বড় বড় রাম দা নিয়ে এরা কী করে। আমার কাছে খুব খারাপ লাগল ব্যাপারটা। এমন কেন হবে? আমাদের কী নির্বাচন করার কোনো অধিকারই নেই? আমি আশা করব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন যারা এসব অস্ত্র নিয়ে বের হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় আমাদের ওপর নির্যাতন চালানোর জন্য তাদের সামলান, তাদের থামান। আমার মেয়েকে সাথে করে নিয়ে গেছি। আর একজন মহিলা ছিল। আর তো কেউ ছিল না। সেখানে তারা অতর্কিত হামলা কেন চালাল?’
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার প্রশ্ন কেন এ অবস্থার মধ্যে আমরা চলছি? এটা কি একটা নির্বাচন হচ্ছে? নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে।’
পরে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য। সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীদের উপর হামলা, অফিস ভাঙচুর করছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে অনুরোধ করব সুষ্ঠুভাবে যেন ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারে সেই পরিবশে তৈরি করার জন্য। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে নিরাপদে ভোট প্রদানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহযোগিতার অনুরোধ করছি।’