উৎসব নাই, ভীতি-ত্রাস এসে গেছে : ফখরুল
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে চলমান প্রতিকূল পরিবেশে বিএনপি নির্বাচনী মাঠে দাঁড়াতে না পারার মানে হচ্ছে, গণতন্ত্র দাঁড়াতে না পারা। তিনি আরো বলেন, ভোট উৎসবের বদলে ভোট-ভীতিতে সারা দেশ ছেয়ে গেছে।
আজ শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম বিষয়ে জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন তো আমাদের দেশে একটা উৎসব। সেই উৎসবের পরিবেশটা নাই। একটা ভীতি, একটা ত্রাস এসে গেছে সবখানে। আমরা দাঁড়াতে পারছি না, আমাদের ক্যান্ডিডেটরা দাঁড়াতে পারছেন না। এজেন্টদের ধরা হচ্ছে, নাম ধরে ধরে ধরা হচ্ছে। বাসায় রেইড দিয়ে ধরা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে।’
‘বিএনপি দাঁড়াতে না পারার মানে হচ্ছে যে, গণতন্ত্র দাঁড়াতে পারছে না। অর্থাৎ প্রধান প্রতিপক্ষ দাঁড়াতে পারছে না। দ্যাট গিভস আ ডিফরেন্ট মেসেজ’, বলেন মির্জা ফখরুল।
সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি এখনো বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে দলের মহাসচিব বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে পোলিং এজেন্ট দিতেও হিমশিম অবস্থায় পড়েছে বিএনপি। এটি শুধু ঠাকুরগাঁও নয়, সারা দেশেই সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ভোটের মাঠ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।’
সম্প্রতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও বরকতউল্লাহ বুলুর অডিও রেকর্ড ফাঁসকেও এই প্রচেষ্টার অংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ফখরুল এটিকে সরকারের কূটচাল বলে অভিহিত করেন।
ভোট উৎসবের বদলে ভোট-ভীতিতে সারা দেশ ছেয়ে গেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, সব ভীতি মোকাবিলা করে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবে বলে আবারও জানান তিনি।
দলীয় নেতাকর্মী ও দেশের জনগণের উদ্দেশে শেষ বার্তা হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বলেন, ‘একটি বার্তা যে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে যেতে হবে। ভোট পাহারা দিতে হবে এবং যেন ভোট কেউ চুরি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’