নোয়াখালীতে সেই গৃহবধূকে গণধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে গণধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে ডাক্তারি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, প্রতিবেদনে গণধর্ষণের আলামত পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, প্রতিবেদনটি বিকেলে তাঁর কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়।
এদিকে, গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁরা হলেন- চরজুবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ও বাচ্চু মিয়া।
এর মধ্য দিয়ে আলোচিত ওই গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
নির্বাচনের দিন ৩০ ডিসেম্বর রাতে সুবর্ণচর উপজেলায় কয়েকজন চার সন্তানের মা এক নারীর বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও ছেলেমেয়েদের বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে ধর্ষণ ও পিটিয়ে আহত করেন। পরের দিন ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।