শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা আবদুল বারীকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। মাওলানা বারী জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য এবং শ্যামনগর উপজেলার সাবেক আমির।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পর পর পাঁচটি মাসিক সভায় অনুপস্থিত থাকার কারণে তাঁকে অপসারণ করে ওই পদ শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের এক চিঠিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ড. জুলিয়া মঈন স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, যেহেতু পর পর পাঁচটি মাসিক সভায় চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল বারী অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত ছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে তিনি তা স্বীকার করেছেন সেহেতু উপজেলা পরিষদের ১৯৯৮ এর ১৩/২ ধারা অনুযায়ী তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। ব্যক্তিগত শুনানির জন্য তাকে নোটিশ প্রেরণ ও জারি করা হলেও তিনি হাজির হননি বিধায় তাঁকে স্বীয় পদ থেকে অপসারিত করা হলো। একই সঙ্গে ওই পদ শূন্য ঘোষণা করে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের আয়োজন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা গেল।
জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল বারী ১৯৮৯ সালে ও ২০০৯ সালের নির্বাচনে পর পর দুইবার শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ১৬ নভেম্বর তিনি এক নারী কেলেংকারীর মামলায় গ্রেপ্তার হন। এ ছাড়া ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা এবং এ সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য করায় লোকজন তাঁর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং ভাঙচুর করে। এর পর থেকে তিনি আর পরিষদে আসেননি বলে জানা গেছে।