নাব্য সংকটে বাঘাবাড়ী বন্দরে ভিড়তে পারছে না জাহাজ
যমুনা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়তে পারছে না। দৌলতদিয়া-বাঘাবাড়ী নৌপথে অনেক ডুবোচর সৃষ্টি এ সংকটের কারণ বলে জানিয়েছে বাঘাবাড়ী ঘাট নৌযান লেবার অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বিভিন্ন জাহাজের চালকসূত্রে জানা যায়, পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য নদীতে অন্তত ১০ ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের ফলে দৌলতদিয়া-বাঘাবাড়ী নৌপথে বর্তমানে পানির গভীরতা সাত ফুটের নিচে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে বেড়া উপজেলার পেঁচাকোলা থেকে মোহনগঞ্জ অংশে। এ অংশের কয়েকটি স্থানে পানির গভীরতা পাঁচ থেকে সাত ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে।
এ কারণে কয়েকদিন ধরে সার, সিমেন্ট, তেলসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী প্রায় ২৫টি জাহাজ সরাসরি বাঘাবাড়ী বন্দরে ভিড়তে পারছে না। নৌপথে চলতে গিয়ে ডুবোচরে আটকা পড়ছে জাহাজগুলো। এ অবস্থায় জাহাজগুলো থেকে ট্রলার ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে অল্প অল্প পরিমাণ পণ্য খালাস করে বাঘাবাড়ীতে নেওয়া হচ্ছে। এতে সময় ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তবে এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ ডুবোচরগুলো অপসারণে খননের কাজ করছে।
ঘাটসংশ্লিষ্ট নৌযান লেবার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার জানান, দৌলতদিয়া থেকে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর পর্যন্ত নাব্যতা সংকটের কারণে যমুনা নদীর পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, ব্যাটারিরচর, নাকালিয়া ও পেঁচাকোলায় নদীর তলদেশে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর। এ কারণে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টনের জাহাজগুলো সরাসরি বাঘাবাড়ী বন্দরে ভিড়তে পারছে না। দৌলতদিয়ায় আটকেপড়া জাহাজ থেকে ছোট ছোট ট্রলারে করে মালামাল আনা হচ্ছে বাঘাবাড়ীতে।
বাঘাবাড়ি নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক এস এম সাজ্জাদুর রহমান জানান, পানির গভীরতা সংকটের কারণে জাহাজে যতটুকু মালামাল আনা প্রয়োজন তা আনা যাচ্ছে না। অতিরিক্ত মাল আনার ফলেই বেশি করে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
সাজ্জাদুর রহমান জানান, জাহাজগুলো মূলত ডুবোচরে আটকে থাকে না। মালামাল আনলোড করার জন্য যে সময় প্রয়োজন ততক্ষণ থেমে থাকে। সেটাকেই জাহাজ আটকে যাওয়া মনে করে অনেকে। প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুমে নাব্য সংকট দেখা দেয়। খনন করে তা অপসারণও করা হয়। এ বছরও খননের কাজ চলছে।