খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে চক্রান্ত করছে সরকার : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের চক্রান্তে ও নির্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বারবার বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। যেসব মিথ্যা মামলায় এর আগে অনেকেই জামিন পেয়েছেন, সেসব মামলায় আদালতকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কুমিল্লার মিথ্যা নাশকতার মামলায় বারবার তারিখ পিছিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনকে হয়রানি করা হচ্ছে। আদালতে ন্যায়বিচার পেলে কুমিল্লায় দায়ের করা মিথ্যা নাশকতা মামলায় বিচারিক আদালতেই জামিন পেতেন খালেদা জিয়া। আদালত জামিনও দিচ্ছেন না, আবার জামিন নামঞ্জুরও করছেন না। এভাবেই তাঁর উচ্চ আদালতে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
‘দেশবাসী মনে করে, সরকারের নির্দেশেই নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। শুধু তাঁকে হয়রানি করার জন্যই তা করা হচ্ছে। আওয়ামী সরকার জুলুমের যত পথ-পদ্ধতি আছে, সবই প্রয়োগ করছে বিএনপির চেয়ারপারসনের ওপর,’ বলেন রিজভী।
আওয়ামী লীগ সারা দেশে ব্যাপক নির্বাচনী সহিংসতা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দমনের পর এখন হত্যা, খুন, ধর্ষণ, হামলা থেকে শুরু করে তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে গ্রামের মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
‘সরকারের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে একতরফা নির্বাচনের পর প্রচারমাধ্যমগুলোকে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে, যাতে সত্য ঘটনা প্রকাশ হতে না পারে। একদিকে হামলা-মামলা-আটক আর অন্যদিকে নিজেদের প্রচারের আতিশয্য বজায় রেখে সরকার প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার বেগবান করেছে’, বলেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘নির্বাচনোত্তর সহিংস সন্ত্রাসের প্রকোপে জনজীবন গভীর শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যে পতিত হয়েছে। বিরামহীন সন্ত্রাসের প্রসারে দেশজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘দেশজুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি ও মামলা-হামলার পর এখন দুদককে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। দুদক আবারও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।’