বিএনপির পুনর্গঠনে বাধা দিতেই গ্রেপ্তার ও হয়রানি
বিএনপির পুনর্গঠনে বাধা দিতেই নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামকে বিনা চিকিৎসায় ক্ষমতাসীনরা মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।urgentPhoto
তরিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলার প্রতিবাদ জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম খান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তরিকুল ইসলাম তাঁর কিডনি ও হার্টের চিকিৎসা করাচ্ছেন। তাঁর কিডনি ও হার্টে সমস্যা ধরা পড়েছে। ফলে প্রথমবার কিডনি ও দ্বিতীয়বার হার্টের অপারেশন করাতে হবে। আর এ জন্য তিনি বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করাতে ৫ অক্টোবর পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে কোনো পাসপোর্ট দেওয়া হয়নি। মূলত তরিকুল ইসলাম যাতে বিনা চিকিৎসার মৃত্যুবরণ করেন এ জন্য তাঁকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়নি।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, যশোরে তরিকুল ইসলামসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলার এজহারে বলা হয়েছে, তরিকুল ইসলামসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা করা হয়েছে। গল্পের মাধ্যমে সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে। এর বাইরে অন্য কিছু নয়।
নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, বিরোধী দল দমনে পুরো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োজিত করায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ দেশে রাজনীতি করতে পারবে কি না তা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে বিএনপি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের দলের পুনর্গঠন কাজ চলছে, সেখানে আমাদের নেতাকর্মীরা একসাথে বসবেন, পরামর্শ করবেন, সিদ্ধান্ত নেবেন। ভোলায় ২০ জন লোক একত্রে বসেছে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ সরকারের কাছে আমরা স্পষ্ট জানতে চাই, তারা কি দেশে রাজনীতি করতে দেবেন অন্য মানুষকে, নাকি অন্য কাউকে রাজনীতি করতে দেবেন না ? আমরা এই দেশ হাসিল করতে লড়াই করি নাই, যে দেশে গণতন্ত্রের নামে এ রকম প্রহসন চলবে।’
এ ছাড়া দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াতকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য তদন্তকে প্রভাবিত করবে বলেও মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘তাদের এই হত্যার সুযোগে বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার করা এটা আবার দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে দেওয়ার নামান্তর। এবং কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী যেভাবে আমাদের দল বা নেতাদের অভিযুক্ত করছেন, তাতে তো মনে হয় দেশে কোনো তদন্তকারী সংস্থা বা বিচারালয়ের কোনো প্রয়োজন হবে না। কোনো তদন্ত ছাড়াই তাঁরা আসামি নির্ধারণ করবেন এবং তাদের সাজা দিয়ে দেবেন। বিরোধী দলকে ঠেকানোর জন্য তাঁর সমস্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োগ করার ফলে দেশে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। ’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।