পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মেয়ে ঐশী রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। 

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালতে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল।

আজ আদালতে সাক্ষ্য দেন ঐশীর মায়ের বান্ধবী নূর জাহান মেরি। তিনি ঐশীর জন্ম গ্রহণের সময় পাশে ছিলেন। আদালত তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাক্ষীর কার্যক্রম সমাপ্ত করে আগামী ১৩ অক্টোবর এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের (৩৪২ ধারায় পরীক্ষা) জন্য দিন ধার্য করেন।

এদিকে আজ সাক্ষ্য গ্রহণ উপলক্ষে মামলার অন্যতম আসামি ঐশী ও ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলার আরেক আসামি মিজানুর রহমান রনি জামিনে থাকলেও হাজির ছিলেন।

এ মামলায় ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দেন। 

২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে আরো দুজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার তিন নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এ মামলায় অভিযোগপত্রের ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।