শেরপুরে কর্মরত বিদেশিদের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ
শেরপুরে বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রকল্পে কাজ করছেন ১৫ জন বিদেশি নাগরিক। এসব নাগরিকের নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে শেরপুর পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বিদেশিদের নিরাপত্তার জন্য টহল পুলিশ নিয়োজিত করা হয়েছে।
আজ রোববার পর্যন্ত শেরপুরে অবস্থান করছেন ১৫ জন বিদেশি নাগরিক। এর মধ্যে ১০ জন ভারতীয়, দুজন যুক্তরাষ্ট্রের, দুজন চীনের এবং একজন থাইল্যান্ডের নাগরিক। এসব বিদেশি নাগরিক জেলার বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও প্রকল্পে কর্মরত।
শেরপুরে হোটেলগুলোতে কোনো বিদেশি নাগরিকের অবস্থানের ব্যাপারটি স্থানীয়ভাবে পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় শেরপুরে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিক। জেনিফার পিকারিং ও মিগান পেটরিক নামের এই দুই নাগরিক শেরপুরে এসেছেন গত ১০ অক্টোবর। অবস্থান করছেন সদরের স্থানীয় একটি হোটেলে। এ ছাড়া ফারুক এন্টারপ্রাইজের একটি কৃষিজাত পণ্যের প্রকল্পে কাজ করছেন চীনের তিনজন নাগরিক। কিন্তু বর্তমানে এই প্রকল্পে কাজের জন্য শেরপুরে অবস্থান করছেন জং পিং নামে একজন চীনের নাগরিক। তিনি থাকছেন স্থানীয় একটি হোটেলে। এ ছাড়া নালিতাবাড়ীর একটি মৎস্য প্রকল্পে কাজ করছেন পিকিট ফন নামে এক থাই নাগরিক। আরেক চীনা নাগরিক হলেন টাং জং ইউ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আছেন। বিয়ে করেছেন ঝিনাইগাতী এলাকার এক নারীকে। তিনি কাজ করেন মূলত দোভাষীর। এখন তিনি অবস্থান করছেন শেরপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে।
অন্যদিকে শেরপুরে ‘স্পন্দন’ নামে খ্যাত ‘ইমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ’-এ কাজ করছেন ১০ জন ভারতীয় নাগরিক। এসব ভারতীয় নাগরিক আগে মধ্যশেরীর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। বর্তমানে তাঁরা অবস্থান করছেন কারখানা প্রাঙ্গণের ভেতরে করা ভবনে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল ওয়ারিশ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পুলিশ বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। যেসব বিদেশি নাগরিক শেরপুরে আছেন তাঁদের আসা-যাওয়ার সময় পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের জন্য পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা রয়েছে।’