স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে
স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে শিগগিরই পৌরসভা আইনের সংশোধনী প্রস্তাবটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।urgentPhoto
এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন আইনের সংশোধনী জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
পৌরসভা নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসায় এবং এ সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ অধিবেশন না থাকায় এ আইনের খসড়াটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সচিব জানান, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন-২০১৫, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০১৫, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০১৫, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন-২০১৫, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন-২০১৫ এ পাঁচটি আইনের সংশোধনী প্রস্তাব স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করে। ব্যাপক আলোচনা ও পর্যালোচনা শেষে মন্ত্রিসভা এ পাঁচটি আইনের সংশোধনী প্রস্তাবেই অনুমোদন দেয়।
সচিব আরো বলেন, ‘স্থানীয় সরকারব্যবস্থা এ পাঁচটি আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্থানীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয়ভাবে হয়। কেউ চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। উন্নত দেশগুলোতে জাতীয় সংসদের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো রাজনৈতিক ও দলীয়ভাবে হয়। উন্নত রাষ্ট্রের মতো আমাদের দেশেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে ও দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারণেই ওই পাঁচটি আইনের অভিন্ন সংশোধনের মধ্যে রয়েছে, রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা। এ ছাড়া প্রার্থীদের যোগ্যতার মাপকাঠি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং এ নির্বাচনগুলোকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
সংসদ নির্বাচনের মতো এখন থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। নির্বাচন কমিশন ওই রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীদের ওই রাজনৈতিক দলের প্রতীক বরাদ্দ দিতে পারবেন। কেউ চাইলে এর বাইরেও স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিতে পারবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আরো বলেন, ‘বিদ্যমান আইনে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এখানে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে কী হবে, সেটা বলা নেই। ফলে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে কোনো কোনো চেয়ারম্যান জটিলতা দেখিয়ে ও কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘদিনের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সংশোধনীতে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে নির্বাচিতরা দায়িত্ব পালন শেষ করে চলে যাবেন। নির্বাচন কমিশন দ্রুত নির্বাচনের চেষ্টা করবে। যদি কোনো জটিলতা বা মামলার কারণে নির্বাচন না হয়, তাহলে সরকার প্রশাসন থেকে একজন প্রশাসক নিয়োগ করবে, যেমনটি এখন সিটি করপোরেশনে করা হয়েছে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসকরা দায়িত্ব পালন করবেন।’