এমপি লিটনকে গ্রেপ্তারে আপিল করা হবে
শিশু সৌরভকে গুলি করার মামলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গ্রেপ্তারের জন্য আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশে স্থগিত চেয়ে এ আপিল করা হবে, যেন তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে। আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে হাইকোর্টের আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘আগামীকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করব। কারণ, এমপি লিটন আত্মসমর্পণের সুযোগ চাওয়ায় তাঁকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ সময়ে তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি আদালতে লিটনের জামিন আবেদনের ঘোর বিরোধিতা করেছি। কারণ, এই লিটন কোনো শিশু বা নাবালক নন। তিনি একজন সাংসদ, এ ধরনের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়ে শিশুকে গুলি করতে পারেন না।’
এর আগে দুপুর সেয়া ১টায় এ মামলায় শুনানি শুরু হয়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা শুনানির পুরো সময় সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এজলাস কক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর আগে সকালে এমপি লিটনকে শুনানির সময় হাজির করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গতকাল হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন এমপি লিটন।
গত ২ অক্টোবর মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ছোড়া গুলিতে শিশু সৌরভ মিয়া (৯) নামের এক শিশু আহত হয়। ওই ঘটনায় মামলার পর থেকে অপ্রকাশ্যে ছিলেন এমপি লিটন। আহত সৌরভ মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপালচরণের সাজু মিয়ার ছেলে। সে গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
গত ২ অক্টোবর শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে নিজের গাড়িতে করে সুন্দরগঞ্জ থেকে বামনডাঙ্গায় বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা শহরের ব্র্যাক মোড়ের গোপালচরণ এলাকায় কালাইয়ের ব্রিজের কাছে গাড়ি থামান এমপি লিটন। সেখানে এক নারীকে তিনি গাড়ির কাছে ডাকলে ওই নারী ভয়ে দৌড়ে চলে যান। পরে তিনি রাস্তায় আরেকজনকে দেখে গাড়িতে উঠতে বলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিও সরে যাওয়ায় এমপি লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে তার দিকে গুলি ছোড়েন। এ সময় রাস্তায় থাকা সৌরভের দুই পায়ে গুলি লাগে।