সাত ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক
রাজশাহীর চারঘাটের হলিদাগাছী স্টেশনের পাশে লাইনচ্যুত ট্রেনটি দুর্ঘটনার সাত ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টার পর রিলিফ ট্রেনের মাধ্যমে লাইনচ্যুত হওয়া মালবাহী ট্রেনের ওই বগি টেনে ওপরে তোলা হয়। পরে মালবাহী ট্রেনটি রাজশাহী অভিমুখে ছেড়ে যায়। এর পরই স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।
এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হলিদাগাছী স্টেশনের পাশে মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ সব রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে আজ ভোরে ঈশ্বরদী থেকে একটি রিলিফ ট্রেন গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। সকাল ১০টার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের বগিটি উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহীর সরদহ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার লুৎফর রহমান জানান, মালবাহী ওই ট্রেনটি গতকাল রাতে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে যাচ্ছিল। ট্রেনটি চারঘাটের হলিদাগাছী স্টেশনের ৫০০ গজ পশ্চিমে লাইনচ্যুত হয়। পরে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন উদ্ধারের জন্য রাতেই ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেনটি রওনা হয়।
আজ সকাল ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ওই ট্রেনের বগিটি ওপরে টেনে তোলা হয়। এ সময় মালবাহী ওই ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপরই ঢাকা-রাজশাহীসহ সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান এই স্টেশন কর্মকর্তা।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেন্ডেন্ট আমজাদ হোসেন জানান, লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজশাহী থেকে সব রুটে ট্রেন চলাচল সাত ঘণ্টা বন্ধ ছিল। তবে ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন গিয়ে উদ্ধারকাজ করার পর রাজশাহী থেকে সারা দেশের সঙ্গে আবারও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এতে শিডিউল বিপর্যয় ঘটলেও দুপাশে আটকেপড়া ট্রেনগুলো ছাড়তে শুরু করেছে বলে জানান পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।
এদিকে, চারঘাটের হলিদাগাছীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন না ছাড়তে পারায় রাজশাহী স্টেশনে আটকা পড়েন যাত্রীরা।
ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর রাজশাহী থেকে রোববার সকালের খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি, চিলাহাটিগামী তিতুমীর ট্রেনও গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হতে পারেনি। এতে রাজশাহী স্টেশনে যাত্রীরা আটকা পড়েন। এ ছাড়া ঢাকা থেকে শনিবার রাতে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেন পদ্মা এক্সপ্রেস নাটোরের আব্দুলপুরে আটকা পড়ে।