রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড
রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ তোফাজ্জল হোসেনসহ ক্ষমতাসীন দলের ১২ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গোপন বৈঠক করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আজ শনিবার দুপুরে তাদের প্রত্যেককে পাঁচদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
দণ্ডিত অন্যরা হলেন দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মোজাহার আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মজনু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি নূর হোসেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলায়মান আলী, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মেয়র তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জজামান মনি, ভাগ্নে রবিউল ইসলাম রবিন, ছাত্রলীগ কর্মী শাকিল আহম্মেদ ও আওয়ামী লীগ কর্মী শিমুল। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ কর্মী শিমুলের কাছে থেকে তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোতালেব এসব তথ্য দিয়ে জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে দণ্ডিতদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, দণ্ডিতরা দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদারের সমর্থক। ভোটের দিন নাশকতার পরিকল্পনা করতে তারা পৌরভবনে গোপন বৈঠক করছিলেন। এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের কাছ থেকে তাঁর নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাউছার হামিদ ও জর্জ মিত্র চাকমার ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেওয়া হয়। আদালত ভোটের আগের দিন গোপন বৈঠক করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণের দায়ে প্রত্যেককে পাঁচদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
তবে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদার বলেন, দুর্গাপুর পৌরসভা কার্যালয়ে ঘরোয়া বৈঠক করছিলেন মেয়রসহ তাঁর কিছু সমর্থক। প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়াই তাদের আটক করেছে। দলীয় প্রার্থীকে বিশেষ সুবিধা দিতেই এ কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কাল রোববার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলান। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদ সরদার। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল কাদেরও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে।