রাজশাহীর ছয়টি উপজেলাতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বেসরকারিভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মোহনপুর ও বাঘা উপজেলাতেও আওয়ামী লীগ মনোনীতরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ ছাড়া আদালতে সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত মামলার কারণে প্রথম ধাপে পবা উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। 

রোববারের নির্বাচনে গোদাগাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ৪৮ হাজার ৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান পেয়েছেন ১৮ হাজার ২১ ভোট।

তানোরে আওয়ামী লীগের লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না মাত্র ৩৫৪ ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২২ ভোট। তাঁর নিকটতম ওয়ার্কার্স পার্টির শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৬৬ ভোট।

বাগমারায় ৩২ হাজার ২৪৭ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের অনীল কুমার সরকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম একই দলের বিদ্রোহী বাবুল হোসেন পেয়েছেন মাত্র তিন হাজার ৮৩৪ ভোট।

দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম ৩৫ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদ সরদার পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৪৯ ভোট।

পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জি এম হীরা বাচ্চু ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম জাতীয় পার্টির আনসার আলী পেয়েছেন মাত্র এক হাজার ৪৪৩ ভোট।

চারঘাটে আওয়ামী লীগের ফকরুল ইসলাম ৫১ হাজার ৩৪৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী টিপু সুলতান পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪০১ ভোট।

এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মোহনপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম ও বাঘায় লায়েব উদ্দিন লাবলুকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।