কামরুল ঢাকায়
সিলেটে শিশু রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে দেশে আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল তাঁকে নিয়ে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ১২ অক্টোবর কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সৌদি আরব যান বাংলাদেশ পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহবুবুল করিম। দলের অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও সিলেট বিমানবন্দর থানার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ (ফিরিয়ে দেওয়া) চুক্তি না থাকায় রাজন হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে দেশে আনতে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হয়। ইন্টারপোলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের কাছে কামরুলকে হস্তান্তর করে। তাঁদের মাধ্যমেই বাংলাদেশের পুলিশের প্রতিনিধিদলের কাছে কামরুলকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কামরুলকে সিলেটের আদালতে হাজির করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু সামিউল আলম রাজনকে। পিটিয়ে হত্যার এ ঘটনা ইন্টারনেটেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরের দিনই সৌদি আরব পালিয়ে যান কামরুল। ১৩ জুলাই রাত ৮টার দিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় কামরুলকে আটক করে সৌদি আরবের পুলিশ।
এর পর ১৬ আগস্ট আলোচিত এই হত্যা মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র প্রদান করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযোগপত্রে উল্লিখিত আসামিদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার ও তিনজনকে পলাতক দেখানো হয়। পলাতক তিনজনের মধ্যে কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো আজ। পলাতক অপর দুই আসামি হলেন পাভেল ও কামরুলের ভাই শামীম।
এ ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হচ্ছেন কামরুলের ভাই আলী হায়দার, মুহিদ আলম, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নূর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।