রাজধানীর সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, বাসে আগুন
বাসচাপায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত হওয়ায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তাটি অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটার পরই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেন বহিরাগতরা। শিক্ষার্থীরা সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
সকাল সোয়া ৭টার দিকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়কে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসে বহিরাগতরা আগুন ধরিয়ে দিলে শিক্ষার্থীরা পানি দিয়ে তা নেভানোর চেষ্টা করেন। ছবি : এনটিভি
পরে খবর শুনে বিইউপির শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। বাসচালকের শাস্তির দাবিতে সড়কেই বসে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা ন্যায়বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটের সামনে রাস্তার দুপাশই অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বাড্ডা নতুনবাজার থেকে কুড়িলের পথে দুদিকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল ১১টার পর ঘটনাস্থলে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতি মাসে সড়ক নিয়ে বৈঠক করতে চান। তিনি বলেন, ‘আজ সময় এসেছে সচেতনতা বৃদ্ধি করার। সেটা তোমরাই পারবে। আজ তোমাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক।’
তবে এরপরও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। শিক্ষার্থীরা জানান, জাবালে নূর বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাবালে নূর এখনো চলছে। সুপ্রভাত বাস এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটানোর পরও কাল থেকে চলবে। তারা অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।