প্রচুর ইলিশ কিন্তু পেটে ডিম
মা ইলিশ ধরা যাবে না-এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ। জেলেরা ব্যস্ত নদীতে। কিন্তু এখনো ভোলায় মেঘনা নদীতে প্রচুর মা ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। জেলেরা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। যা এখন অথবা আরো পরে দেওয়া হলে মা ইলিশ রক্ষা পেত।
গত ৯ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকেই জাল, নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ভোলার অন্তত দুই থেকে আড়াই লাখ জেলে। ১৫ দিন মাছ ধরতে পারেননি। আর এখন যেন নাওয়া-খাওয়ারও ফুরসত নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর।
তাই মাছঘাটগুলো সরগরম হয়ে উঠেছে আবারও। এসব এলাকা এখন জেলে আর আড়তদারদের পদচারণে মুখরিত। জেলেদের সময় নষ্ট করার কোনো ফুরসত নেই। জাল টেনে মাছ ধরে ঘাটে দিয়েই আবার চলে যান জাল ফেলার জন্য। তবে ধরা পড়া অধিকাংশ ইলিশের পেটেই পাওয়া যাচ্ছে ডিম।
প্রতিদিনই ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটছে জেলে আমিন হোসেনের। তিনি বলেন, ‘প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে। তবে যে সময় মা ইলিশ না ধরার জন্য অভিযান দিয়েছে সরকার, ওই সময়টা ঠিক ছিল না। এখন অথবা আরো ২০-২৫ দিন পর হলে মা ইলিশ রক্ষা পেত।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘জেলেরা কোনো অভিযান মানে না। অভিযান করতে হলে সবার আগে মাছের দালালদের আটকাতে হবে।’
একই কথা বলেন আরো বহু জেলে ও আড়তদার। তাঁরা আরো বলেন, আমাদের নাম দিলে প্রশাসন আমাদের ছাড়বে না। অভিযান বলতে কিছুই হয়নি। হয়েছে বিনা পয়সায় ইলিশ নেওয়ার প্রতিযোগিতা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ হালদার বলেন, ‘এখন মা ইলিশ ধরা পড়াটা স্বাভাবিক বিষয়। কারণ এখন ডিম ছাড়ার মৌসুম। সারা বছরই ইলিশ ডিম ছেড়ে থাকে।’
মৎস্য কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সময়টা আরো বাড়ানো যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে জেলেদের পুনর্বাসনের কথা চিন্তা করতে হবে। সময় বাড়ালে ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষা পাবে।’