পুরোনো তেলও মেশে ‘পুষ্টি’তে, ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা
পুষ্টি ব্র্যান্ডের ভোজ্য তেলের ল্যাব পরীক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ কেমিকেল ব্যবহার ও পরিশুদ্ধ তেলের সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ তেল মেশানোর অপরাধে সুপার ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেডকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার কাচপুরে সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়লে ওই জরিমানা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কাচপুরের এই সুপার ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেডে পরিশুদ্ধ করা হয় বহুল পরিচিত ‘পুষ্টি’ ভোজ্যতেল। এখানেই পরিশোধনের পর বোতলজাত করে বাজারে ছাড়া হয়ে থাকে এই ভোজ্যতেল, যা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করে দেশের লাখ লাখ মানুষ।
কিন্তু স্বনামধন্য এই ব্র্যান্ডের তেল আসলে কতটুকু নিরাপদ তা দেখতে এই কোম্পানিতে বিএসটিআইকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ তেল রিসাইকেলের নামে পরিশোধিত তেলের সঙ্গে মিশিয়ে পুনরায় বোতলজাত করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
এত বড় প্রতিষ্ঠানের খুপড়ি ঘরের মতো পরীক্ষাগারে গিয়েও মিলেছে অনিয়ম। তেলের ঘনত্ব ও সঠিক রং পরীক্ষার জন্য যে কেমিকেল ব্যবহার করা হচ্ছে তাও মেয়াদোত্তীর্ণ। অর্থাৎ পরীক্ষার জন্য যা ব্যবহার করা হচ্ছে সেই কেমিকেল দিয়ে তেলের সঠিক পরীক্ষা করে মান নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
তাই পরিশোধিত তেলের সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ তেল মেশানো ও ল্যাব টেস্টে অনিয়মের অভিযোগে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক রাজিব বণিক বলেন, ‘স্যাচুরেটেড আমাদের জন্য ক্ষতিকারক, এটি যত দিন যাবে খারাপ হতে থাকবে। এটাকে পরিশোধন করে আগের জায়গায় আনা যায় না। এটা ল্যাবরেটরিতে সম্ভব তবে উৎপাদন পর্যায়ে সম্ভব নয়।’
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম বলেন, ‘বাজারে যেসব তাদের তেল এক্সপেয়ার হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো পুনরায় নিয়ে এসে তাদের রিফাইনারি লাইনে দিয়ে বাজারজাত করছে।