‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বোর্ড যথেষ্ট দায়িত্ব পালন করেছে’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বোর্ড যথেষ্ট দায়িত্ব পালন করেছে, শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনা করেছে। দিন যতই যাচ্ছে, ভালো পড়াশোনার বিকল্প নেই, এটা শিক্ষার্থীরা বুঝতে পেরেছে।’
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হাতে পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। পরে সেখানেই ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছরেও ফলের সূচকে বেশ কিছু ইতিবাচক লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। এর পেছনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যেমন—বিনামূল্যে সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া, টেলিভিশনে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের পাঠদান প্রচার, শিক্ষার উপকরণ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং নকলবিরোধী ব্যাপক প্রচারণা।’
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘গত বছরের মতো এ বছরও উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অবমূল্যায়ন বা অতিমূল্যায়নরোধে বোর্ডসমূহ বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধান পরীক্ষকদের উত্তরমালা প্রণয়নের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এ বছর ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ও উত্তীর্ণের সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে সব শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ২ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি পাস করেছে। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এ তথ্যগুলো ইতিবাচক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত নানা পদক্ষেপ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টাসহ সমগ্র শিক্ষা পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় এ অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।’
প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ ছাত্রী ও ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র।
সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এবারে তা বেড়ে হয়েছে ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। অর্থাৎ পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এবার মোট পাস করেছে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ শিক্ষার্থী। গতবার পাস করেছিল ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ জন। অর্থাৎ এবার এক লাখ ৭৩ হাজার ৬১ জন শিক্ষার্থী বেশি পাস করেছে।