দেশে চলছে অন্যায়, অবিচার আর অনাচার : খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘বাংলাদেশে এখন অন্যায়, অবিচার, আর অনাচারের দুঃসময় বয়ে চলছে। এ দেশে মানুষের সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা এখন সম্পূর্ণরূপে তিরোহিত হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন জবরদখলকারীরা জনগণের ওপর চালাচ্ছে সীমাহীন জুলুম, জনগণকে শ্বাসরুদ্ধ করতে তাদের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। বাণীতে শহীদ হজরত ইমাম হোসেন (রা.), তাঁর পরিবারের সদস্যদের এবং কারবালার শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘অন্যায়-অবিচার, অন্যায্য, অবৈধ অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। ইসলাম আমাদের সে শিক্ষাই দেয়। মহানবী (সা.)ও অন্যায়কে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। তাঁর উম্মত হিসেবে আমাদের কর্তব্য যে কোনো গণবিরোধী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কৃত অনাচার আর অবৈধ ক্ষমতার দাপটে মানুষকে দমিয়ে রাখার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।’
খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘১০ মহররম সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। পবিত্র আশুরার এ দিনে ঘটেছিল এক শোকাবহ ঘটনা। অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এ দিনে শাহাদাতবরণ করেছিলেন। কারবালা প্রান্তরে সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা আজও মানুষকে কাঁদায় এবং বেদনার্ত করে। সত্য ও ন্যায়ের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন আরো বলেন, ‘তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে ১০ মহররমের আত্মত্যাগের চেতনাকে বুকে ধারণ করেই আমাদের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর শাহাদাত বরণের শোকাবহ স্মৃতিবিজড়িত দিন ১০ মহররম আমাদের আজও গভীর দুঃখ ভারাক্রান্ত ও বেদনার্ত করে তোলে। অসত্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ করতে গিয়ে তিনি এ দিনে জালিমের হাতে শহীদ হন। ব্যক্তিগত কোনো অভিলাষ নয় বরং অবিচার, জবরদস্তি আর মিথ্যা অহংকারকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে তাঁর নিজের আত্মত্যাগের ঘটনা সারা দুনিয়ার সকল মজলুমকে প্রতিবাদী হতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে।’
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আরো বলেন, ‘আজকের এ দিনে আমি হজরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’