শেষ সময়ে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিদের
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। আর ঈদে চাই নতুন জামা। সেই চাহিদা পূরণ করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন ঢাকার দর্জিরা। ভোক্তাদের যথাসময়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত পোশাক দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাজধানীর টিকাটুলির আর কে মিশন রোডে শুভেচ্ছা নামের দর্জি মোহাম্মদ কামাল বলেন, ১৫ রোজা পর্যন্ত কাজের অর্ডার নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন কোনো ধরনের নতুন অর্ডার নেওয়া হচ্ছে না। চান রাত পর্যন্ত কাপড় ডেলিভারির সময় দেওয়া হয়েছে। যথাসময়ে কাপড় ডেলিভারি দেওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি।
শনির আখড়ায় ইত্যাদি নামের দর্জি দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, পছন্দের পোশাক বানাতে ভিড় করছেন তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষজন। আর দোকানের কারিগর বা কর্মচারীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ওই দোকানের কর্মচারী সালাম জানান, এখনো অনেকে অনুরোধ করছে নতুন কাপড়ের অর্ডার দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা না করে দিচ্ছি। ২০ রোজার পরে আমরা আর কোনো অর্ডার নেই নাই। ক্রেতারা যেনো যথাসময়ে কাপড় পান সে জন্যই আমাদের কারিগররা সারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
ফাহমিদা নামের একজন বলেন, রোজা শুরু হওয়ার পরেই ইত্যাদি ফ্যাশনসে কাপড় বানাতে দিয়েছি। আজ তা ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। যথাসময়ে ডেলিভারি পেয়ে খুব খুশি লাগছে। ঈদের দিন নতুন পোশাক না পরলে ঈদের আনন্দ যথাযথ হয় না।
মনির নামের একজন বলেন, প্রতি বছর ঈদে আমি কাপড় কিনে জামা বানাই। কিন্তু এ বছর যেন জামার কাপড়ের দামও বেশি। সুন্দর ফিটিংসের জন্য দর্জি দোকানে কাপড় বানাতে দিয়েছি।
এদিকে অনামিকা নামের এক দোকানি বলেন, এবারের রোজায় কাপড়ের অনেক অর্ডার পেয়েছি। কারিগররা সারাদিন পরিশ্রম করে ক্রেতাদের জন্য পোশাক তৈরি করছেন। চাঁদ রাত পর্যন্ত কাপড় ডেলিভারি চলবে। তবে আমি কাউকেই ফিরিয়ে দিচ্ছি না। কারণ সামনে ঈদ। এ অর্ডার সময়মতো দিতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে বিরতিহীনভাবে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরির কাজ চালানো হচ্ছে।