স্ত্রীকে অচেতন করে শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক কিশোরী দুলাভাইয়ের হাতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার শালগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরীর নাম তামান্না আক্তার। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর আমিনপুর গ্রামের নোয়াব মিয়ার মেয়ে এবং শালগাঁও-কালিসিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ত।
পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েকদিন আগে তামান্না শালগাঁও গ্রামে তার বড় বোন সিল্কী আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তামান্নার দুলাভাই নাঈম ইসলাম তাকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান। গতকাল তামান্না বোনের বাড়ি থেকে ফিরে আসতে চাইলে দুলাভাই অনেকটা জোর করেই তাকে বাড়িতে রাখেন। পরে গতকাল রাতে তামান্নাকে আমের জুস খাওয়াতে চান নাঈম। কিন্তু তামান্না রাজি হয়নি। পরে নাঈম তাঁর স্ত্রী সিল্কী আক্তারকে আমের জুসটি খাওয়ান। জুস খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সিল্কী অচেতন হয়ে পড়েন। এর পরই নাঈম তামান্নাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। অচেতন থেকে জেগে ওঠার পর সিল্কী তাঁর বোন তামান্নাকে ডাকাডাকি করেন। এর মধ্যেই নাঈম কৌশলে পালিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় স্কুলছাত্রী তামান্না আক্তারের মৃত্যুতে স্বজনের আহাজারি। ছবি : এনটিভি
নিহত তামান্নার স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলছেন, তামান্নাকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানিয়েছেন তামান্নার পরিবার। এ ঘটনায় তামান্নার স্বজন ও সহপাঠীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।