ক্ষমা না চাইলে টিআইবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : নাসিম
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরা কারা? এদের পরিচয় কী? এই টিআইবির মুখপাত্ররা কী চায়? তারা যে ভাষা ব্যবহার করেছে, এই জন্য টিআইবিকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে এদের বিরুদ্ধে যেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ১৪ দল সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
মোহাম্মদ নাসিম আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। আগামী ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা বাসস।
টিআইবির বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কীভাবে তারা বলতে পারে এই পার্লামেন্ট একটি নাট্যশালা? তারা কীভাবে বলতে পারে এই পার্লামেন্ট পুতুল নাচের আসর। যারা এই কথাগুলো বলেছে একটি রাজনৈতিক দলও সে ভাষায় কথা বলতে পারে না। কিন্তু টিআইবি সে ভাষায় কথা বলেছে। এটা অর্মাজনীয়। তারা বিএনপি-জামায়াতের চেয়েও জঘন্য ভাষায় সংসদকে আক্রমণ করে কথা বলেছে।
‘টিআইবি চেয়েছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হোক। আর নির্বাচন না হলে দেশে একটি অসাংবিধানিক সরকার আসবে ? সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি বলেই কি আজকে তাদের এত ক্ষোভ? তারা শুধু পার্লামেন্টকে আক্রমণ করে নাই। যে ভাষা ব্যবহার করেছে, এই জন্য টিআইবিকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। টিআইবির তথাকথিত মুখপাত্ররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপমান করেছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে টিআইবির অর্থের উৎস ও পৃষ্টপোষকদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, এরা নির্বাচন চেয়েছে। ওদের নির্বাচন চাওয়ার অধিকার কে দিয়েছে। ওদের কাজ গবেষণা করা। ওরা ওদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে এসব কথা বলেছে। এতেই প্রমাণিত হয় ওরা দেশে গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থার সরকার চায় না, অসাংবিধানিক সরকার চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ওদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছে। ভবিষ্যতেও করবে।
সম্প্রতি দুজন বিদেশি নাগরিক হত্যা, তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা এবং পুলিশ হত্যার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, একজন নেত্রী বিদেশে আছেন। তিনি বিদেশে গেলেন আর একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এরই মধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, চিহ্নিত করা হয়েছে- তারা একটি দলের মুখচেনা লোক।
এর আগে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুনন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী ও এস এম কামাল হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির নুরুর রহমান সেলিম, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, গণআজাদী লীগের এস কে শিকদার প্রমুখ।