এবার ব্লগার অভিজিতের প্রকাশকের ওপর হামলা
রাজধানীতে এবার ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুলকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আহত হন আরো দুজন। এঁরা হলেন তারেক রহীম ও রণদীপম বসু।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার সি ব্লকে শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে দুর্বৃত্তরা তিনজনকে কুপিয়ে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামিল মীরের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে দুর্বৃত্তদের আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
এ ঘটনার পর ব্লগার, লেখক ও প্রকাশকরা ঢামেক হাসপাতালে ভিড় জমায়। তারা চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানায়, আহতদের মধ্যে একজনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে উপস্থিত শ্রাবণ প্রকাশনীর রবীন আহসান এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘আমরা এখন হাসপাতালের বাইরে অবস্থান করছি। আমরা জানতে পেরেছি তিনজনেরই মাথায় আঘাত করা হয়েছে। তারা কেউ আশঙ্কামুক্ত নন।’
আহতদের খুব দ্রুত ‘ও’ পজেটিভ ও ‘এ’ পজেটিভ রক্ত প্রয়োজন। শুভাকাঙ্ক্ষীদের দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে এসে রক্ত দান করতে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রকাশক রবীন আহসান।
যে ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে সেখানকার বাসিন্দাদের কেউ কেউ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ঘটনার সময় তারা গুলির শব্দ শুনেছে। ওই ভবনের চার তলায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়। সেখানে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। আলামত নষ্টের আশঙ্কায় ওই ভবনে বা কক্ষে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ঘটনার পর ব্লগার ও লেখক রণদীপম বসু এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কুপাইছে, আমি টুটুল ভাই আর তারেক।’
শুদ্ধস্বর প্রকাশনী সংস্থা থেকে ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ‘অবিশ্বাসের দর্শন’সহ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে অভিজিৎ রায়কে হত্যার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়ে আসছিলেন। এর পর তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বলেও ঢামেক হাসপাতালে উপস্থিত টুটুলের বন্ধুরা জানান।