হামলায় অংশ নেয় তিনজন : পুলিশ
রাজধানীর লালমাটিয়ায় প্রকাশনী সংস্থা শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় তিনজন অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে বই কেনার কথা বলে দুর্বৃত্তরা লালমাটিয়ার সি ব্লকের ৮/১৩ নম্বর ভবনের চার তলায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে। এ সময় সেখানে সংস্থাটির প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক ও ব্লগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কুপিয়ে ও গুলি করে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে মোটরসাইকেলে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
এরপর স্থনীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখানে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার শেখ মারুফ হাসান। তিনি হাসপাতালের আহত তিনজনের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন।
হাসপাতালে শেখ মারুফ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আহতদের মধ্যে তারেক রহিম নামে একজনের অবস্থা একটু খারাপ। তাঁর ঘাড়ে, মাথায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর কোমড়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে মনে হয়েছে। টুটুল ও রণদীপমের শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
চিকিৎসকরা তাঁদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শেখ মারুফ হাসান বলেন, শুদ্ধস্বরের ওই কার্যালয়ে বই কেনার নাম করে একে একে তিনজন ঢুকে। তারপর অতর্কিতে তাঁদের ওপর আক্রমণ করেছে। তদন্ত চলছে।’
ঘটনার পর আশপাশের লোকজন গুলি ও কান্নার শব্দ শুনতে পেলেও দরজায় তালাবদ্ধ থাকায় কেউ কিছু করতে পারেনি। পরে তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন এনটিভিকে জানান, আশপাশের লোকজন এসে তালা ভাঙার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রথমে পারেনি। পরে তালা ভাঙা হয়। আহতরা তালাবদ্ধ ঘর থেকে কান্নাকাটি করে তাঁদের বাঁচানোর কথা বলছিলেন।
শুদ্ধস্বর প্রকাশনী সংস্থার স্বত্বাধিকারী টুটুলের ঘনিষ্ঠজন ছোট কাগজ ‘মেঘ’ সম্পাদক শাহীন লতিফ জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে ব্লগার অভিজিত রায় হত্যার পর থেকেই হুমকি পাচ্ছিলেন টুটুল। তখন থেকেই তিনি সব সময় আতঙ্কে ছিলেন। এ জন্য তিনি মোহম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন।