এবার ছেলেধরা সন্দেহে ৫ এনজিওকর্মীকে গণপিটুনি
এবার রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় কথিত ছেলেধরা সন্দেহে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) পাঁচ কর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাওথা এলাকায় আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্মীরা সদস্য সংগ্রহ করতে গেলে এলাকাবাসী সন্দেহবশত তাদের গণপিটুনি দেয়। পরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এনজিওর কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে পুলিশ তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলার ঝাকরপুর গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪২), একই এলাকার আলহাজ আখতারুজ্জামানের ছেলে আবুল হোসেন (৪০), একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম (৩৮), ঢাকার লালবাগ থানার আব্দুল মজিদের ছেলে কাইয়ুম আলী (৩৯) ও একই এলাকার আবুল কালাম (৪২)।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ ও চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পাঁচ কর্মী রাওথা এলাকায় জনৈক আবদুল মজিদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে কাজকর্ম শুরু করে। তাঁরা এলাকায় অপরিচিত। আজ দুপুরে তাঁরা সদস্য সংগ্রহের কাজ করছিলেন।
এ সময় এলাকাবাসী তাদের ছেলেধরা বলে সন্দেহ করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, কোনো এনজিও উপজেলায় কাজ করতে চাইলে তাদের পরিচয়সহ কাগজপত্র জমা দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে কোনো এনজিও অনুমতির জন্য আবেদন করেনি। তাঁরা অবৈধভাবে এলাকায় এনজিওর কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। ফলে অনুমতি ছাড়া এনজিওর কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক দেখিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, কয়েক মাস আগে আদ্ব-দীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামে একটি এনজিও লোভনীয় মুনাফা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রায় আট লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।