রাজশাহীর কারাগারের বন্দিরা পেল বালিশ
রাজশাহী কারাগারের বন্দিদের প্রথমবারের মতো বালিশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন এই বালিশ বিতরণ করেন।
কারাগারের বন্দিরা এত দিন শোয়ার জন্য শুধু তিনটি করে কম্বল পেত। এর মধ্যে একটি কম্বলকে বালিশ হিসেবে ব্যবহার করত তারা। গত বছর থেকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বালিশ দেওয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী কারাগারের বন্দিদের মধ্যে বুধবার বালিশ বিতরণ করা হয়।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন জানান, গত সপ্তাহে বালিশগুলো ঢাকা থেকে রাজশাহী কারাগারে আসে। এরপর কারাগারের দর্জি কয়েদিরা এগুলো ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। বুধবার কারাগারের এক হাজার ৯৬৩ জন হাজতি ও ৮০৩ জন কয়েদিকে বালিশগুলো দেওয়া হয়।
বালিশ বিতরণের সময় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ হাবীবুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দেশের বিভিন্ন কারাগারের মতো গত ১৬ জুন থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারেও বন্দিদের সকালের নাস্তায় পরিবর্তন আনা হয়। এখন বন্দিরা সকালের নাস্তায় সপ্তাহে দুই দিন খিচুড়ি, চার দিন সবজি ও রুটি এবং একদিন হালুয়া-রুটি পাচ্ছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৮৬৪ সাল থেকে কারাগারে একজন কয়েদি পেত ১৪ দশমিক ৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬ দশমিক ৬ গ্রাম আটার একটি রুটি। আর সমপরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেতেন ৮৭ দশমিক ৬৮ গ্রাম আটার একটি রুটি। ১৫৫ বছর পর গত ১৬ জুন থেকে সেই নাস্তার পরিবর্তন হয়।