মিন্নির মা-বাবাকেও গ্রেপ্তারের দাবি শ্বশুরের

নয়ন বন্ডের সঙ্গে মেয়ের বিয়ের কথা গোপন রেখে রিফাত শরীফের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ায় ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই ‘প্রতারণা’র জন্য আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর ও তাঁর মা জিনাত জাহান মনির বিচার চেয়েছেন আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ। উভয়কে গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বরগুনায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দলাল শরীফ। তিনি বলেন ‘প্রতারণার মাধ্যমে আমার ছেলের সাথে মিন্নির বিয়ে না দিলে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটত না।’
দুলাল শরীফ আরো বলেন, ‘আমার ছেলে রিফাতের সাথে বিয়ে হওয়ার পরও মিন্নি নয়নের বাসায় যাওয়া আসা করত, যা নয়নের মা একাধিক গণমাধ্যমে একাধিকবার বলেছেন। আমার ধারণা ও বিশ্বাস, আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে তার মা-বাবাও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, যা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। তাই পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার জোর দাবি— অনতিবিলম্বে মিন্নির মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেপ্তার করা হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড উল্লেখ করে দুলাল শরীফ বলেন, ‘ইতিমধ্যে মিন্নিকে যথাযথ তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পুলিশ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নয়নবন্ড বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। মিন্নিসহ গ্রেপ্তারকৃত সব আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
দুলাল শরীফ আরো বলেন, ‘মামলার সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে চললেও আসামি পক্ষের কেউ কেউ কোনো প্রভাবশালী কুচক্রীমহলের ইন্ধনে মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে একমাত্র বাদী ও রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অথচ কুখ্যাত আসামিপক্ষ মামলার গতি পরিবর্তন করার লক্ষ্যে অন্য সংস্থার দ্বারা মামলার তদন্ত করার ষড়যন্ত্রে মরিয়া হয়ে উঠেছে, যা কোনোভাবেই আসামি পক্ষ এখতিয়ার রাখে না।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘তাঁর একমাত্র নিষ্পাপ ছেলে হত্যার তদন্ত নিয়ে খুনি মিন্নির বাবা মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার যে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে তাতে মামলাটির সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।’