স্ত্রীসহ রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী ‘ডেঙ্গুতে’ আক্রান্ত
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী। তবে প্রধান প্রকৌশলী বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রধান প্রকৌশলী ও তাঁর স্ত্রী বর্তমানে নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ১৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫২ জন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, এ বছর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১১ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকি ৫২ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে আকিকুন্নাহার (৬৫) নামের এক নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে আকিকুন্নাহারের স্বামী আবদুল ওয়াহেদ (৭৫) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারা দুজন ঢাকায় ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রধান প্রকৌশলী ও তাঁর স্ত্রীর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এ এফ এম আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, দাপ্তরিক কাজে ঘন ঘন ঢাকায় যাতায়াত করছিলেন প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। হঠাৎ তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর স্ত্রীর শরীরেও জ্বর দেখা দেয়। তাঁরা দুজনেই ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো অনুভব করলে রক্তের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, তাঁরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বর্তমানে তাঁরা ভালো আছেন। অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল। এ কারণে তাঁদের বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধান প্রকৌশলীর বাসায় গিয়ে তাঁকে দেখে এসেছেন।
তবে, মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ঠাণ্ডা লেগে জ্বর হয়েছে। ডেঙ্গু হলে তো হাসপাতালে ভর্তি হতাম।’
এদিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে যার যার বসতবাড়ি ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। শিগগিরই নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশকনিধন কার্যক্রম শুরু হবে।’