১৬ জেলেসহ সাগরে ট্রলারডুবি, একজন উদ্ধার
বৈরী আবহাওয়ায় ১৬ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায় মাছ ধরার একটি ট্রলার। নিখোঁজ জেলেদের একজনকে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা ভেসে থাকার পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ১৫ জেলের সলিল সমাধি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধার হওয়া জেলের নাম মাহামুদ হোসেন (৪২)। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। বর্তমানে তিনি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে পায়রা বন্দরের দক্ষিণ পূর্বলালবয়া এলাকায় ডুবে যায় ট্রলারটি। এ দুর্ঘটনায় ১৫ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় ট্রলার মালিক সমিতির সদস্যরা।
জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলে মাহামুদ জানান, নোঙর করা ট্রলারের ব্রিজের (থাকার জায়গা) মধ্যে ১১ জন জেলে ঘুমিয়ে ছিলেন আর তিনিসহ পাঁচজন ব্রিজের ওপরে ছিলেন। হঠাৎ বড় একটা ঢেউ এসে ট্রলারটিকে উল্টে ফেলে। এতে পাঁচজনের মধ্যে তিনি ছাড়া সবাই পানির তোড়ে ভেসে যায়। এ অবস্থায় বাকি ১১ জেলের বেঁচে থাকার কথা নয় বলে জানান উদ্ধার হওয়া মাহামুদ।
নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে ইকবাল হোসেন ও আনোয়ার মাঝির নাম জানা গেছে। অপর জেলেদের নাম জানা যায়নি। তবে তাঁদের সবার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানান ট্রলার মালিক আনোয়ার হোসেন।
জেলেদের বরাত দিয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরের পূর্বলালবয়া এলাকায় মাছ শিকার করছিল জেলেরা। এ সময় হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হয়ে ঝড় শুরু হয়। এতে ঝড়ের কবলে পড়ে ১৬ জেলেকে নিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। পরে এফবি আরিফ নামের একটি ট্রলার ফিরে আসার পথে এক জেলেকে ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে অপর ১৫ জেলে ও ট্রলারটি এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আরো জানান, ইতিমধ্যে নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারের জন্য দুটি ট্রলার ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার শাহ জামাল বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ও পায়রা বন্দরের কোস্টগার্ড সাগরে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।’