তাভেলা হত্যায় বিএনপি নেতার ভাই রিমান্ডে
ঢাকায় ইতালির নাগরিক চেসারে তাভেলা হত্যায় জড়িত সন্দেহে বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমের ছোট ভাই এম এ মতিনকে আট দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আসামি মতিনকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জেহাদ হোসেন। অন্যদিকে তাঁর পক্ষের আইনজীবী এস এম শওকত হাসান মিয়া রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোলের বড় আঁচড়া সীমান্ত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গত ২৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার কাইয়ুম তাভেলা হত্যার সন্দেহভাজন পরিকল্পনাকারী। তাঁর নির্দেশ ও পরিকল্পনায় তাভেলাকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করেন মন্ত্রী।
তবে পরদিন বিএনপি নেতা কাইয়ুম বিবিসির কাছে দাবি করেন, ইতালির নাগরিক হত্যাকাণ্ডে তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।
এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, তাভেলা হত্যায় গ্রেপ্তার মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগ্নে রাসেলের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতেই তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কূটনৈতিকপাড়া গুলশানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ইতালির নাগরিক চেসারে তাভেলা। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক মাস পর গত ২৬ অক্টোবর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা।
ভাগ্নে রাসেল ছাড়া ওই সময় গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হলেন রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, শুটার রুবেল ও শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরীফ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে চাক্কি রাসেল ছাড়া বাকি তিনজন এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডে ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৫০ বছর বয়সী নিহত তাভেলা ছিলেন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশনের ‘প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক।