ঝালকাঠিতে গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ
ঝালকাঠিতে যৌতুকের দাবিতে বনিতা রানী হালদার (৩০) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার রাতে সদর উপজেলার শতদসকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই গৃহবধূর স্বামী সুখেশ হালদার ও গ্রাম্যচিকিৎসক সুরেন বড়ালকে আটক করে।
এদিকে নিহত গৃহবধূ বনিতার পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে অচেতন করে ফেলেন। পরে গ্রাম্যচিকিৎসক ডেকে ইনজেকশন দিয়ে শরীরে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
নিহত গৃহবধূ বনিতা রানী সদর উপজেলার ডোনজুড়ি গ্রামের বিনোদ বিহারী বৈদ্যর মেয়ে।
গৃহবধূর স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০০৭ সালে বনিতা রানীর সঙ্গে শতদসকাঠি গ্রামের সুখেশ হালদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন স্বামী। সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ির লোকজন বনিতাকে নির্যাতন করলে তিনি বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে স্বামী গিয়ে নির্যাতন না করার আশ্বাস দিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন।
এরপর রোববার দুপুরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বনিতাকে নির্যাতন করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে রাতে স্থানীয় গ্রাম্যচিকিৎসক সুরেন বড়ালকে দিয়ে ইনজেকশনে শরীরে বিষ প্রয়োগ করে বনিতার মৃত্যু নিশ্চিত করেন তারা।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানান, স্বামী ও গ্রাম্যচিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে বনিতার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।
আজ সোমবার সকালে বনিতা রানীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।