নাইক্ষ্যংছড়ি ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজন কারাগারে
বান্দরবানে দোকান ভাঙচুর ও জোর করে দখলের মামলায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ হাসান এ নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও আইনজীবীরা জানায়, সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ মার্কেটের দোকানদার সামসুল আলমের দোকানের তালা ভেঙে জিনিসপত্র ভাঙচুর ও অবৈধভাবে দখল করে তাঁর এক আত্মীয়কে হস্তান্তর করেন চেয়ারম্যান ও তাঁর সহযোগীরা। এ ঘটনায় দোকানদার বাদী হয়ে গত জুলাই মাসে বান্দরবান মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় আজ বুধবার আসামি তসলিম ইকবাল চৌধুরীসহ তিনজন মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তসলিম ইকবাল চৌধুরী, ইউপি সচিব সৈয়দ আলম ও চেয়ারম্যানের আত্মীয় ইউনুচ খান।
মামলার বাদী সামসুল আলম বলেন, ‘নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ মার্কেটে আমার একটি দোকান রয়েছে। আগামী ২০২০ সাল পর্যন্ত দোকানের ভাড়ার মেয়াদ রয়েছে। দোকান ভাড়াও পরিশোধ রয়েছে। কিন্তু আমি বিএনপি করার অপরাধে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জোর করে আমার দোকানের তালা ভেঙে জিনিসপত্র চুরি ও ভাঙচুর করেন। পরে দোকানটি তাঁর ভাইয়ের শ্বশুরের কাছে দিয়ে দেন। এর পর আমি আদালতে মামলা করি।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী উবা থোয়াই মারমা জানান, নাইক্ষ্যংছড়িতে দোকান দখল, ভাঙচুর ও চুরির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীসহ তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।