পাবনায় ঘুমন্ত গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় সাথী খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরিবারের দাবি, পারিবারিক কলহের কারণে স্বামীর হাতেই খুন হয়েছেন সাথী। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাথী খাতুন ফরিদপুর পৌর সদরের টিয়ারপাড়া মহল্লার মিজানুর রহমানের স্ত্রী এবং উপজেলার ডেমরা ইউনিয়নের পাচুয়াবাড়ি গ্রামের আবদুল মজিদের মেয়ে।
নিহত সাথীর পরিবার জানায়, পারিবারিক কলহের কারণে এক মাস আগে স্বামীর ওপর অভিমান করে বাবার বাড়িতে চলে যান সাথী খাতুন। গতকাল বুধবার রাতে খাবার খেয়ে ছোট বোন মীমের সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা কোনোভাবে ঘরে ঢুকে সাথীকে গলায় ও ঘাড়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। সাথীর চিৎকার শুনে ছোট বোন মীম টের পেয়ে পেয়ে সেও চিৎকার শুরু করে। এ সময় তাঁর বাবা ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে যান। কিন্তু সাথীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
নিহত সাথী খাতুনের বাবা আবদুল মজিদ বলেন, ‘চার বছর আগে মিজানুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় সাথীর। পারিবারিক কলহের কারণে মাঝেমধ্যেই সাথীকে মারধর করতেন মিজানুর। এক মাস আগে সাথী আমার বাড়িতে চলে আসে। এ নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলাও করে সে।’ এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সাথীকে তাঁর স্বামী হত্যা করেছে বলে দাবি করেন আবদুল মজিদ।
খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন। তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। হত্যার কারণ ও হত্যাকারী সম্পর্কে সুস্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তদন্তের মাধ্যমে সবকিছু খুঁজে বের করা হবে।